শেল হল আপনার কাজের পরিবেশের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাধারণত ডস-এ যে শেলটি ব্যবহৃত হয় তার নাম command.com । কমান্ড লাইনে যেসব কমান্ড লেখা হয়, শেল তা থেকে আপনি কি করতে চান তা বুঝতে পারে ও অপারেটিং সিস্টেমকে জানায়। এছাড়া শেলে ব্যবহারের জন্য শেল স্ক্রিপ্টও লেখা যায় যা অনেকটা ডস-এর ব্যাচ ফাইল এর মতই। শেল স্ক্রিপ্টে অনেকগুলো কমান্ড লেখা থাকে এবং ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই কমান্ডগুলো চালানো হয়।
FreeBSD'তে প্রথম
থেকেই
csh ও
sh নামে
দুটি শেল
ইনস্টল করা
থাকে।
কমান্ড
লাইন থেকে
কাজকর্মের
জন্য csh শেল
ভাল, তবে
শেল
স্ক্রিপ্ট
লেখা
উচিত্ sh (বা
bash)
শেলের
জন্য।
এমুহূর্তে
কি শেল
ব্যবহার
করছেন তা
জানতে
চাইলে echo
$SHELL
কমান্ডটি
ব্যবহার
করুন।
শেল
হিসেবে csh
বেশ ভাল
কিন্তু
tcsh শেল csh
এর সব কাজই
করতে পারে
এবং এটির
আরো কিছু
অতিরিক্ত
সুবিধা
আছে। tcsh শেল
ব্যবহার
করলে Arrow Key
চেপে
পূর্বে
ব্যবহৃত
কমান্ডগুলো
খুজে বের
করা ও এডিট
করা যায়।
এই শেলে
ফাইলের
নামের
প্রথম কিছু
অংশ লিখে
tab চাপলে (csh
এর
ক্ষেত্রে
Esc )
নামের
অবশিষ্ট
অংশ নিজে
থেকেই লেখা
হয়ে যায়।
এছাড়া cd
-
লিখে
সর্বশেষ
ব্যবহৃত
ডিরেক্টরিতে
সরাসরি চলে
যাওয়া যায়।
এই শেলটির
কমান্ড
প্রম্পটকেও
বেশ সহজেই
পরিবর্তন
করা যায়।
সব মিলিয়ে tcsh
শেলে কাজ
করা বেশ
সুবিধাজনক।
পরবর্তি তিনটি ধাপে একটি নতুন শেল ইনস্টল করার পদ্ধতি বর্ণিত হলঃ
অন্যান্য
সব পোর্ট
বা
প্যাকেজের
মতই যে
শেলটি
ব্যবহার
করতে চান
তার পোর্ট
বা
প্যাকেজ
ইনস্টল
করুন। এখন
প্রথমে
rehash
কমান্ড
দিন ও পরে
which tcsh
(tcsh
শেল
ইনস্টলের
ক্ষেত্রে)
কমান্ড
দিয়ে
শেলটি
আসলেই
ইনস্টল
হয়েছে
কিনা তা
নিশ্চিত
হন ।
root হিসেবে
/etc/shells
ফাইলটি
এডিট
করুন।
ফাইলের
শেষে নতুন
শেলটির
জন্য একটি
লাইন যোগ
করুন,
এক্ষেত্রে
যা হল
/usr/local/bin/tcsh
।
এখন
ফাইলটি
সেভ করুন।
(কিছু
পোর্ট
ইনস্টল
হওয়ার সময়
নিজে
থেকেই এই
পরিবর্তনগুলো
সম্পন্ন
হয়)
স্থায়ীভাবে
tcsh শেল
ব্যবহার
করতে
চাইলে chsh
কমান্ড
ব্যবহার
করুন। আর
সাময়িকভাবে
ব্যবহার
করার
ইচ্ছা
থাকলে
কমান্ড
হিসেবে
tcsh
লিখুন। এর
ফলে নতুন
করে লগ ইন
না করেই tcsh
শেল
ব্যবহার
করতে
পারবেন।
বিভিন্ন
ইউনিক্স
বিশেষ করে
FreeBSD'র পুরনো
সংস্করণগুলোতে
root এর শেল
হিসেবে sh বা
csh ব্যতীত
অন্য কিছু
ব্যবহারকরাটা
বেশ
বিপদজনক।
কারণ অন্য
কোন শেল
ব্যবহার
করলে, যখন single
user mode এ
কম্পিউটার
ব্যবহারের
প্রয়োজন
হয়, তখন
হয়তো কোন
শেলই
থাকবে
না।দ্জতাই
root এর শেল
হিসেবে tcsh
ব্যবহার
করতে
চাইলে su
-m
কমান্ড
ব্যবহার
করুন। এর
ফলে tcsh শেল root
এর Environment এর
অংশ হয়ে
যায়।
আপনার home
ডিরেক্টরির
.tcshrc
ফাইলে alias
রূপে এই
লাইনটি
ব্যবহার
করে
স্থায়ীভাবে
এধরনের
ব্যবস্থা
করতে
পারেন,
alias su su -m
tcsh শেল চালু
হওয়ার সময় csh
এর মতই
/etc/csh.cshrc
ও
/etc/csh.login
ফাইলদুটো
পড়ে থাকে।
যদি home
ডিরেক্টরিতে
কোন .tcshrc
ফাইল না
থাকে তবে
সেখানকার
.login
ও .cshrc
ফাইলদুটোও
tcsh পড়বে।
.tcshrc
ফাইল
তৈরীর একটি
সহজ উপায়
হল সরাসরি
.cshrc
'কে
.tcshrc
'তে
কপি করা।
আপনার
ব্যবহৃত
শেলের
প্রম্পট
কিরকম
দেখাবে, tcsh
শেল
ইনস্টলের
পর আপনি
এখন তা
নির্ধারণ
করতে
পারেন। tcsh এর
ম্যানুয়াল
পেজে
এসম্পর্কে
বিস্তারিত
বলা হয়েছে।
এখানে
প্রম্পট
নির্ধারণের
জন্য একটি
লাইন
উল্লেখ করা
হল। .tcshrc
ফাইলে এই
লাইনটি
লিখলে
প্রম্পট
থেকে জানা
যাবে - এ
পর্যন্ত
ব্যবহৃত
কমান্ড,
সময় ও
বর্তমান
ডিরেক্টরির
নাম। এছাড়া
tcsh শেল
ব্যবহার
করলে
সবসময়ই
প্রম্পটের
শেষে root এর
জন্য #
এবং সাধারণ
ব্যবহারকারীর
জন্য >
দেখা যাবে।
লাইনটি
হলঃ
set prompt "%h %t %~ %# "
যদি .tcshrc
ফাইলে কোন
“set prompt” লাইন
থাকে, তবে
সেখানে এই
লাইনটি
লিখুন। আর
যদি না
থাকে, তবে
“if($?prompt) then” এর
নিচে
লাইনটি যোগ
করুন।
পুরনো লাইন
থাকলে তা
comment out করে
দিন। এর
ফলে পুরনো
লাইনটিকে
সহজেই
ভবিষ্যতে
ব্যবহার
করতে
পারবেন। এই
পরিবর্তনগুলো
করার সময়
উল্লেখিন space
ও quote গুলো
ব্যবহার
করতে
ভুলবেন না।
source .tcshrc
কমান্ড
প্রয়োগ
করলে শেল
নতুন করে
.tcshrc
ফাইলটি
পড়বে।
সকল Environment Variable এর
মান দেখতে
হলে env
কমান্ড
ব্যবহার
করুন।
ফলস্বরূপ
যে মানগুলো
দেখতে
পাবেন, তার
মধ্যে
উল্লেখযোগ্য
হল ডিফল্ট
এডিটর,
পেজার,
টার্মিনালের
ধরন
ইত্যাদি।
যদি আপনি
দূরবর্তী
কোন
কম্পিউটার
থেকে লগ ইন
করেন এবং
টার্মিনালের
অক্ষমতার
কারণে কোন
একটি
প্রোগ্রাম
চালাতে না
পারেন, তবে
খুবই কাজের
একটি
কমান্ড হল
setenv TERM
vt100
।
All FreeBSD documents are available for download at http://ftp.FreeBSD.org/pub/FreeBSD/doc/
Questions that are not answered by the
documentation may be
sent to <freebsd-questions@FreeBSD.org>.
Send questions about this document to <freebsd-doc@FreeBSD.org>.